দাম না পেয়ে পাকা ধানে আগুন দিলেন কৃষক
- Get link
- X
- Other Apps

তবে এটা শুধুই প্রতিবাদ, নাকি এর পেছনে অন্য কারও কোনো উদ্দেশ্য আছে, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।কালিহাতী উপজেলার বানকিনা গ্রামে আবদুল মালেক সিকদারের বাড়ি। তিনি বলেন, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। ধান পেকে গেছে, ধান কাটতে শ্রমিকের খোঁজে গতকাল রোববার গিয়েছিলেন রামপুর, এলেঙ্গা ও করটিয়া বাজারে। প্রতিটি জায়গাতেই ধানকাটা শ্রমিকেরা মজুরি চান এক হাজার টাকা করে। তার ওপর শর্ত দেন তিন বেলা তাদের পছন্দমতো খাবার খাওয়াতে হবে। এমনিতেই ধানের উৎপাদক খরচ হয়েছে অনেক বেশি। বাজারে ধানের তেমন দাম নেই। এত চড়া দামে শ্রমিক এনে ধান কাটলে লোকসান আরও বেড়ে যাবে। তাই রাগে, ক্ষোভে পেট্রল কিনে নিজের জমিতে ফিরে আসেন মালেক সিকদার। জমির একাংশে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। আগুন দেখে আশপাশের জমিতে থাকা লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পাকা ধানে আগুন জ্বলার এ দৃশ্য উৎসাহী লোকজনের অনেকেই মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধান খেতে আগুন দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই কৃষক মালেকের বাড়িতে ভিড় করেন। তাঁরা তাঁকে সমবেদনা জানান। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামও গতকাল রোববার রাতে মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
পাইকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ধানখেতে আগুন দেওয়ার ঘটনা বিষয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
কালিহাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএম শহীদুল ইসলাম বলেন, কৃষি শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি হওয়ায় রাগে-ক্ষোভে আবদুল মালেক তাঁর জমিতে আগুন লাগিয়েছিলেন।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ফলন অনেক বেড়েছে। কিছুদিন পড়েই ধান-চাল ক্রয় শুরু করবে সরকার। তাই ধান এখন বিক্রি না করে কিছুদিন পরে বিক্রি করলে আরও বেশি দাম পাওয়া যাবে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment