নবীনগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো দিয়ে চলছে ছয় গ্রামের মানুষ


নবীনগরে উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন ও পাশের সাতমোড়া ইউনিয়নের ৬ গ্রামের
মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা রছুল্লাবাদ (পুর্বপাড়া) গ্রামে যমুনা খালের (মেঘনা নদীর শাখা) উপর একটি বাঁশের সাকো। এ বাঁশের সাকোর উপর দিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ প্রতিদিন হাজারো  গ্রামবাসী জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
সাতমোড়া ইউনিয়নের বড় শিকানিকা, ছোট শিকানিকা,পদ্দনগর,কাজেল্লা সহ রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের রছুল্লাবাদ পুর্বপাড়া ও দক্ষিনপাড়ার কয়েক শতাধিক পরিবারের লোকজনের যাতায়াত এ বাশের সাকোর উপর দিয়ে। একটি মাত্র বাশ দিয়ে তৈরী এ সাকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কোমলমতি শিশু কিশোর ও বৃদ্ধারা।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রতিদিন স্কুল,কলেজ ও হাট বাজার ও নিত্য চলাচলে হাজারো পথচারী জীবনের  ঝুকি নিয়ে সাকোর উপর দিয়ে পথ চলে। তিক্ত অভিজ্ঞতা ও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ছাড়াও এ সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকেই প্রান হারিয়েছে বলে জানান রছুল্লাবাদ পুর্বপাড়া গ্রামের মোরশেদ মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম। আনুমানিক ৬৫ বছরের ওই মহিলা জানান, “হাক্কা দিয়া কত পার অওন যায়। এন্দা একটা বিরিজ (ব্রিজ) করতারেনা” বড় শিকানিকা, ছোট শিকানিকা,পদ্দনগর,কাজেল্লা সহ আরো কয়েক গ্রামে নিজস্ব কোন হাট না থাকায় তারা সেতু পার হয়েই রছুল্লাবাদ বাজারে এসে দৈনন্দিন চাহিদা মেটায়। এছাড়াও এখানে হাইস্কুল, মাদ্রাসা না থাকায় তারা দুরবর্তী এলাকায় গিয়ে পাঠদান করতে হয়। এতে করে বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় সাঁকো ব্যতিত তারা পথ চলতে পারেনাherbeauty.coরছুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা জাবেদ,সৌরব ব্যরিস্টার জাকির কলেজের শিক্ষার্থী। তারা জানালেন,সল্প সময়ে কলেজে আসা যাওয়ায় সাঁকো ব্যবহার নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। অন্যথায় বিকল্প পথে কলেজে আসা যাওয়া করতে গেলে রছুল্লবাদ থেকে সিএনজি কিংবা অটোতে ভাড়া খরচ পরবে প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশত টাকা। যাকিনা যে কোন শিক্ষার্থীদের জন্য বহন করা  অসম্ভব। গ্রামবাসীর প্রানের দাবী এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে অর্থনৈতিক দিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে সংশ্লীষ্ঠদের এগিয়ে আসা উচিত।

Comments

Popular posts from this blog

দেশে আপওয়ার্ক বন্ধ নিয়ে বিতর্ক

সরাইলে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কালীকচ্ছ সম্মিলনী’