আশুগঞ্জ কারখানা থেকে সার উত্তোলন বন্ধ


জেলার আশুগঞ্জ সারকারখানার মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) হাবিবুর রহমানকে প্রত্যাহারসহ
তিন দফা দাবিতে সাতজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সার উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন ডিলাররা।
বুধবার সকাল থেকে আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে কারখানার কমান্ড অ্যারিয়াভুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, চাঁদপুর জেলায় ৭৪৮ জন ডিলার তাদের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।
ডিলাররা জানান, বিগত ২০১১- ২০১২ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়। আমদানি করা এসব সার এবং কারখানার নিজস্ব উৎপাদিত সার ব্রাক্ষণবাড়িয়াসহ সাত জেলার তালিকাভুক্ত ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আমদানিকৃত ইউরিয়া সারের প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে থাকার কথা থাকলে প্রতি বস্তায় ১০ থেকে ১৫ কেজি সার ওজনে কম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও নিম্নমানের সার সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেক সারের বস্তা জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে গুণগত মান নষ্ট হয়ে গেছে।herbeautyআর এসব সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) হাবিবুর রহমান উৎকোচ গ্রহণ করে পরিবহন ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেন এবং ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয়, বিসিআইসি ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ প্রথমে মহাব্যবস্থাপক (বানিজ্যিক) হাবিবুর রহমানকে প্রত্যাহার করলেও মঙ্গলবার আবারো তাকে এ পদে বহাল করা হয়।
সম্প্রতি নিম্নমানের সার ও বস্তায় ওজনে কম সার থাকার প্রমাণ পায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটিও। বিষয়টি বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই উপায় না পেয়ে সাত জেলার ডিলাররা সার উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, কারখানার মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে ডিলাদের মাঝে বস্তায় ওজনে কম ও নিম্নমানের সার দেয়া হচ্ছে। তাই তাকে প্রত্যাহার না করা হলে কারখানা থেকে সার উত্তোলন বন্ধ রাখবেন ডিলাররা।
আশুগঞ্জ সারকারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল বাকি জানান, বিষয়টি সাময়িক, সুরাহার জন্য চেষ্ট চলছে।

Comments

Popular posts from this blog

দেশে আপওয়ার্ক বন্ধ নিয়ে বিতর্ক

সরাইলে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কালীকচ্ছ সম্মিলনী’